স্টাফ রিপোর্টার:
আজ বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট ২০২৫) গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এক বাণী দিয়েছেন।
বাণীতে তিনি বলেন,
“জোরপূর্বক গুম একটি বৈশ্বিক সমস্যা এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। বিশেষ করে স্বৈরতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা ও রাজনৈতিক সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে এ ধরণের অমানবিক ঘটনা ঘটে থাকে। শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশে নজীরবিহীন গুমের ঘটনা দেশবাসীর মতো আমাকেও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন করেছে।”
তিনি উল্লেখ করেন, নির্ভরযোগ্য মানবাধিকার সংস্থার তথ্যানুযায়ী ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সাত শতাধিক মানুষকে গুম করেছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। তবে একটি ঘটনারও ন্যায়বিচার হয়নি। আশার কথা হলো, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার “গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫” নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছে, যা ভবিষ্যতে গুম প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তারেক রহমান বলেন,
“গুম আন্তর্জাতিক অপরাধ হিসেবে স্বীকৃত। আইসিসি’র রোম সনদের ৭ (২) অনুচ্ছেদে গুমকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো তাদের প্রিয়জনের অবস্থান জানার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, ন্যায়বিচার থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। এই মনুষ্যত্বহীন অপরাধের বিচার ও জবাবদিহিতার জন্য বিশ্বব্যাপী ঐক্য ও সংহতি প্রয়োজন।”
বিএনপি’র পক্ষ থেকে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, জনগণের ভোটে সরকার গঠন করলে বাংলাদেশে আর কোনো গুম হবে না। এজন্য জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত আন্তর্জাতিক কনভেনশন (আইসিপিপিইডি) অনুসারে আইন প্রণয়ন করা হবে।
বাণীর শেষে তারেক রহমান বলেন,
“মানবতার বিরুদ্ধে এই হিংস্র গুরুতর অপরাধের ন্যায়বিচার হতেই হবে।”
বাণীটি দলের পক্ষ থেকে প্রচার করেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন