স্টাফ রিপোর্টার:
চট্টগ্রামের মিরশরাইয়ে প্রায় ৯০০ একর কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ জমি ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বর্তমান সরকার দেশীয় স্বার্থকে উপেক্ষা করে ভারতের জন্য বিশেষ সুবিধা তৈরি করেছে। ফলে এ জমি উদ্ধারের চেষ্টা করলে ভয়াবহ রক্তপাতের শঙ্কা তৈরি হবে।
জমিটি মিরশরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলের আশপাশে অবস্থিত। এটি একদিকে শিল্পায়ন ও বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডের জন্য উপযোগী, অন্যদিকে ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
স্থানীয়রা দাবি করছেন, এই জমি বাংলাদেশের শিল্প ও অর্থনীতির ভবিষ্যতের জন্য ব্যবহৃত হওয়ার কথা থাকলেও, তা ভারতীয় স্বার্থে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মিরশরাইবাসীর কণ্ঠে ক্ষোভ স্পষ্ট। এলাকাবাসীর একাধিক প্রতিনিধি বলেন—
“এ জমি উদ্ধার করতে গেলে রক্তপাত হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। ভারত এমনি এমনি জায়গাটা ছাড়বে না।”
তাদের অভিযোগ, সরকার ভারতের সঙ্গে বিশেষ চুক্তির মাধ্যমে এই জমি বিদেশি স্বার্থে ব্যবহার করতে দিয়েছে। এতে স্থানীয় জনগণের ভূমি অধিকার, কর্মসংস্থান ও নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, সরকারের এই সিদ্ধান্ত একটি “দেশদ্রোহী চুক্তি”। তাদের মতে, ভারতকে সুযোগ দিয়ে শেখ হাসিনা সরকার জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দিয়েছেন।
একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন,
“মিরশরাইয়ের জমি নিয়ে যদি জনগণ মাঠে নামে, তবে তা শুধু স্থানীয় আন্দোলনেই সীমাবদ্ধ থাকবে না—বরং জাতীয় পর্যায়ে বড় ধরনের সংঘাতের কারণ হতে পারে।”
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ভারত এই অঞ্চলটিকে তাদের অর্থনৈতিক করিডর ও বাণিজ্যিক রুটের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে। ফলে তারা সহজে এই জায়গার দখল ছাড়তে চাইবে না।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, দেশীয় শিল্প ও নিরাপত্তার স্বার্থে এই জমি বিদেশি শক্তির হাতে ছেড়ে দেওয়া অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত হবে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন—
জমি উদ্ধারের আন্দোলন শুরু হলে তা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নিতে পারে।
ভারতের প্রতিক্রিয়া পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলবে।
জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় সরকার নীরব থাকলে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি বিষয়টিকে বড় আন্দোলনের ইস্যু বানাতে পারে
এ বিষয়ে এখনো সরকারের কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন—
👉 সরকার কি এই জমি পুনরুদ্ধারে পদক্ষেপ নেবে, নাকি ভারতের স্বার্থকেই অগ্রাধিকার দেবে?
মিরশরাইয়ের ৯০০ একর জমি এখন জাতীয় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। আগামী দিনে এই ইস্যু দেশজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতার নতুন অধ্যায় রচনা করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন