১. অপরাধ নিয়ন্ত্রণে দ্রুততা
সেনাবাহিনী যখন মাঠে নামে, তখন সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজরা সঙ্গে সঙ্গে আড়ালে চলে যায়। কারণ সেনাবাহিনীর ভয়-ভীতি এবং শক্তি পুলিশের চেয়ে বেশি কার্যকর।
২. অস্ত্র উদ্ধার অভিযান
২০০১–০২ সালের অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল। সেনাবাহিনী গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করে গ্রামে–শহরে, সীমান্তে অস্ত্রের ভান্ডার খুঁজে বের করেছিল।
৩. জনগণের আস্থা
সাধারণ মানুষ সেনাবাহিনীকে নিরপেক্ষ ও শৃঙ্খলাবদ্ধ বাহিনী হিসেবে দেখে। ফলে সেনারা মাঠে থাকলে মানুষ নিরাপত্তা অনুভব করে।
৪. রাজনৈতিক সন্ত্রাস দমন
পুলিশ অনেক সময় রাজনৈতিক চাপে কাজ করতে পারে না। কিন্তু সেনাবাহিনী মাঠে নামলে রাজনৈতিক সন্ত্রাসও কমে যায়।
---
তাহলে এখন কেন ২০০১ সালের মতো কাজ হচ্ছে না?
১. রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের অভাব
– সেনাবাহিনী নিজেরা মাঠে নামতে পারে না, সরকারের নির্দেশ ছাড়া।
– ২০০১ সালের পর বিএনপি সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে সেনাবাহিনীকে নামিয়ে “অপারেশন ক্লিন হার্ট” চালায়।
– বর্তমান সময়ে রাজনৈতিক দলগুলো সেনাবাহিনী নামানোকে নিজেদের স্বার্থের বিরুদ্ধে মনে করে।
২. আইনগত জটিলতা
– ২০০২ সালের অভিযানের পর অনেক মৃত্যু ও নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে।
– পরবর্তীতে সংসদে আইন করে সেনাবাহিনীকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
– তাই এখন সরকার সেনাবাহিনী নামাতে ভয় পায়—যদি আন্তর্জাতিকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে।
৩. আন্তর্জাতিক চাপ
– জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংস্থা এবং দাতা দেশগুলো সবসময় চায় সেনাবাহিনী রাজনীতির বাইরে থাকুক।
– তাই রাজনৈতিক সহিংসতা দমন বা আইনশৃঙ্খলার কাজে সেনাবাহিনী ব্যবহারে আন্তর্জাতিক চাপ থাকে।
৪. নির্বাচনকেন্দ্রিক ব্যবহার
– এখন সেনাবাহিনীকে শুধু নির্বাচনের সময় সীমিতভাবে মাঠে নামানো হয়, সারা দেশের নিয়ন্ত্রণের জন্য আর ব্যবহার করা হয় ন
👉 সেনাবাহিনী মাঠে নামলে বাস্তবেই অপরাধ, সন্ত্রাস, অস্ত্র ও মাদক নিয়ন্ত্রণে আসে।
👉 কিন্তু রাজনৈতিক সদিচ্ছা, আইনগত অনুমতি এবং আন্তর্জাতিক চাপে তারা আর ২০০১ সালের মতো স্বাধীনভাবে “ক্লিন হার্ট” ধরনের অভিযান চালাতে পারছে না।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন